মূল অসমিয়াঃ দিগন্ত শর্মা
বাংলা অনুবাদ: সুশান্ত কর
মন্দিরের নাগাড়ার শব্দে আজও শিহরিত হন
গোরেশ্বরের ভাষিক সংখ্যালঘু জনতা
ঈশ্বর
উপাসনার জন্যে বহু মন্দিরে প্রদীপ জ্বালবার সঙ্গে নাগাড়া বাজানো হয়। নাগাড়ার শব্দ ভক্তি-প্রাণ
ব্যক্তিকে খানিক সময়ের জন্যে হলেও মাথা নোয়াতে বাধ্য করে। কিন্তু কামরূপ জিলার
গোৰেশ্বৰ শহরের নিকটবর্তী হাজলপাড়া, বেতনা, সিলকিঝাড় ইত্যাদি গ্রামের ভাষিক
সংখ্যালঘু জনতা আজও শিহরিত হন নাগাড়ার শব্দ শুনলে। মন্দিরে সন্ধ্যা বেলা বাতি
জ্বালবার পরে দূরের কোনো গ্রাম থেকে যখন নাগাড়ার শব্দ ভেসে আসে, তখন সে এলাকার
বাঙালীদের মনে ভেসে আসে আতঙ্ক জর্জরিত একটি দিনের কথা। যে দিনটিতে সেই বাঙালী
সম্প্রদায়ের মানুষের উপরে অসমীয়া মানুষেরা অত্যন্ত নির্দয়ভাবে আক্রমণ করেছিল।
হত্যা করেছিল শতাধিক লোককে। ...
সেই আক্রমণ চালাবার
আগে চারদিকে নাগাড়া বাজিয়ে একত্রিত হয়েছিল হাজার হাজার আক্রমণকারী। ‘নাগাড়ার শব্দ’
ছিল ছিল বিদেশী তাড়াতে লাঠি-বল্লম-দা –তলোয়ার- তির ধনুক নিয়ে দলে বলে অসমীয়া
মানুষকে বেরিয়ে আসবার আহ্বান জানাবার সংকেত। সেই সংকেত যেন ছিল গণনিধন যজ্ঞের শুরুর বার্তা।
সেদিনটি ছিল ১৮ ফেব্রুয়ারি,
১৯৮৩ সন। কামরূপ জেলার গোরেশ্বর শহরের কাছের আটটি গ্রামে আক্রমণ করেছিল
উগ্রজাতীয়তাবাদী অসমীয়া মানুষজন। সেই গ্রামগুলো ছিল হাজলপাড়া, বেতনা, সিলকিঝাড়, ৫
নং গোরেশ্বর, বালাহাটী, গোঁহাই গাঁও, জানপাড়া এবং ২ নং গোরেশ্বর। পুরো আঠারোটি
গ্রাম ধ্বংস হয়েছিল। সেই ভয়াবহ দিনটির মনে করে হাজলপাড়া গ্রামের পঙ্কজ বিশ্বাস
বলেছিলেন,“বিদেশী বহিষ্কার আন্দোলন বা অসম আন্দোলন ছিল আমাদের জন্যে এক মূর্তিমান
আতংক। বিশেষ করে ১৮ ফেব্রুয়ারি দিনটিতে আমরা প্রায় আটখানা গ্রামের মানুষ ১৬০জন
আত্মীয় পরিজনকে হারিয়েছিলাম। সে দিনটির স্মৃতি আমাদের এমন ব্যথিত করে যে সেসব মনে
পড়লেই কষ্ট হয়।মন্দিরের নাগাড়ার শব্দে প্রায়ই আমাদের সেই আতংকময় দিনটিকে মনে করিয়ে
দেয়। কারণ নাগাড়া বাজিয়েই আক্রমণকারীরা একত্রিত হয়েছিল। প্রথমে হাজলপাড়া, সিলকিঝাড়,
আর তারপরে অন্যান্য গ্রামগুলো আক্রমণ করেছিল। আসলে ১৭ তারিখে,অর্থাৎ আগের দিনে
রামপুর (গোঁহাই হাউলি) গ্রামের নাগাড়া বাজিয়ে আক্রমণকারীরা জড়ো হয়েছিল। সেদিন
রাতেই বরনদীর পুব পাড়ের অর্থাৎ দরং জেলার ঝালুকবাড়ি গ্রামে আগুন দিয়েছিল।পরদিন
সকাল থেকেই কামরূপ জেলার বাঙালি বসতিপূর্ণ গ্রামগুলোতে আক্রমণ করেছিল।আমরা
পালিয়েছিলাম।কিন্তু গ্রামের অনেকেই মারা পড়েছিলেন। ৩ নং হাজলপাড়া গ্রামের সুকোমল
বিশ্বাসের পরিবারের ১৪ জন লোককে হত্যা করে ফেলে। সেরকম ধীরেন দাসের মা-বাবাসহ ৯ জন
মানুষকে হত্যা করেছিল।”
সুকোমল বিশ্বাস
জানালেন যে তাঁর পরিবারের বসন্ত বিশ্বাস (৬৫), সুকেশ বিশ্বাস (৪৫), পরিমল বিশ্বাস
(৪০),কানন বিশ্বাস (২০), ভুবন বিশ্বাস (১২), বিজয় বিশ্বাস (১১), অণিমা বিশ্বাস
(১৫), সন্ধ্যারানি বিশ্বাস (১৪), সুষমা বিশ্বাস (১৫), বিমল বিশ্বাস (৩৪) কে হত্যা
করেছিল।
সুকোমল বিশ্বাস
বললেন,“এখন সেসব কথা কেউ মনে করিয়ে দিলে আমাদের অনেক কষ্ট হয়। সেদিন আমার উপরেও আক্রমণ হয়েছিল।মারা গেছি
ভেবে আক্রমণকারীরা ফেলে চলে যায়।কিন্তু পরে জ্ঞান ফিরে আসাতে বেঁচে গেলাম। আজ আমি
শরীরে মনে সেই সংঘাতের ক্ষতচিহ্ন নিয়ে বেঁচে আছি। ...”
কথাগুলো বলে সুকোমল বিশ্বাস শোকবিহ্বল হয়ে নীরব হয়ে পড়েছিলেন।বিদেশী বিতাড়ন আন্দোলনের এক ভুক্তভোগী ধীরেন দাস বললেন,“আমার
বাবা সুরেন্দ্র দাস,মা শান্তি দাস থেকে শুরু করে ৯ জন আত্মীয়কে হত্যা করেছে
আন্দোলনকারীরা।আমরা কি অসমিয়া ভাষার শত্রু, না অসমিয়া জাতির শত্রু আজও বুঝে উঠতে
পারি নি।১৯৬০এর ভাষা আন্দোলনেও আমরা আক্রান্ত হয়েছিলাম।সে যাই হোক,আমরা
নির্যাতিত,নিপীড়িত মানুষের আজ অব্দি ন্যায় লাভ করতে পারি নি।এক এক জন মৃত ব্যক্তির
বিপরীতে পাঁচ হাজার টাকা,আহত ব্যক্তির জন্যে দু হাজার টাকা এককালীন সাহায্য
দিয়েছিল সরকার। এ কি সত্যিই প্রকৃত ক্ষতিপূরণ? দোষী আজও শাস্তি পেল না। ...”
এলাকাটিতে ক্ষেত্র অধ্যয়ন করে দেখা গেল যে সেই বাঙালিদের গ্রামগুলোতে
আন্দোলনকারী,আক্রমণকারীরা শুধু যে মানুষ মেরেই ক্ষান্ত হয়েছিল তাই নয়।অনেকে
গ্রামগুলোর থেকে মানুষের বিষয়-আসয়ও লুঠ করেছিল। উল্লেখযোগ্য যে গোরেশ্বর এলাকার
বাঙালিদের গ্রামগুলোতে এবং দরং জেলার খৈরাবাড়ি এলাকাতে বিভিন্ন ভাষিক সংখ্যালঘু
বসতিপূর্ণ গ্রামে চালানো আক্রমণের ফলে কয়েক শত মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। হাজার হাজার
মানুষ হয়েছিল গৃহহারা। গোরেশ্বর রেলস্টেশনে প্রায় ১৫ হাজার মানুষ আশ্রয় নিয়ে
অনাহারে অনিদ্রাতে দিন কাটিয়েছিলেন। এমন কি অঞ্চলটির ৫ হাজার মানুষ পরে পশ্চিম
বাংলাতে আশ্রয়ের সন্ধানে গিয়েছিলেন।প্রায় ২৫ দিন ভুক্তভোগীরা আশ্রয় শিবিরে থেকে
আবার গ্রামে ফিরে এসেছিলেন। ফিরে এসে দেখেন ভিটে-বাড়িতে শুধু ছাই আর ছাই। ...
‘আসু’,গণ সংগ্রাম পরিষদ,কর্মচারী পরিষদ ইত্যাদি সংগঠন আন্দোলনে নেতৃত্ব
দিয়ে বিদেশী বহিষ্কারের নামে যে কলঙ্কিত ইতিহাস রচনা করল তার জীবন্ত সাক্ষ্য হাজলপাড়া,বেতনা,সিলকিঝাড়,গোরেশ্বর
এবং দরং জেলার খৈরাবাড়ি এলাকার ভুক্তভোগী বাঙালি সম্প্রদায়ের জনতা।যারা আজও
অপেক্ষা করছেন ন্যায় পাবার জন্যে।কিন্তু বিশ্বের বৃহত্তম গণতান্ত্রিক দেশ
ভারতবর্ষের প্রশাসনযন্ত্র উগ্রজাতীয়তাবাদের শিকার,ফ্যাসিবাদের বা সংঘাতের বলি
অসমের মানুষকে ন্যায় দিতে ব্যর্থ হয়েছে। তার বিপরীতে দেশের অন্য প্রান্তের গোষ্ঠী
বিদ্বেষ,সাম্প্রদায়িক সংঘাতের বলি মানুষজনকে কিছু হলেও ক্ষতিপূরণ দিয়েছে। উদাহরণ
স্বরূপে ১৯৮৪ সনের ‘শিখ গণনিধন’ কাণ্ডের ক্ষতিগ্রস্তদের সরকার কয়েক লক্ষ করে
ক্ষতিপূরণ দিয়েছে।২০০২এর গুজরাটে যারা সাম্প্রদায়িক সংঘাতের সৃষ্টি করেছিল তাদের
একাংশকে অন্তত আদালত দোষী সাব্যস্ত করেছিল।গুজরাটের বিজেপি সরকার তথা নরেন্দ্র
মোদী সরকার কেবিনেট মন্ত্রী মায়া কোডনানিকে গুজরাতের আদালত শাস্তির বিধান দিয়েছে।
কিন্তু অসমে ১৯৮৩তে অনুষ্ঠিত সংঘাতে হাজার হাজার মানুষ প্রাণ হারাবার পরেও সেই
গণসংহারকান্ডগুলোর কোনো বিচারই হল না। বরং যে সব মামলা রুজু করা হয়েছিল সেগুলোও
আসাম সরকার বন্ধ করে দিল।হত্যাকারীদের সরকারী পৃষ্টপোষকতাতে মুক্ত করে দিয়ে সমগ্র ন্যায়
ব্যবস্থাটিকেই কলুষিত করেছিল
শিলাপাথার কাণ্ড এবং
তেওয়ারি আয়োগের প্রতিবেদন
আক্রমণ করতে উসকে দিয়েছিল সরকারি আধিকারিকই
১৯৮৩র জানুয়ারি থেকে এপ্রিল মাস অব্দি অসমে সংগঠিত হিংসাত্মক ঘটনাগুলো
সম্পর্কে তদন্ত করতে ত্রিভুবন প্রসাদ তেওয়ারির নেতৃত্বে সরকার একটি তদন্ত আয়োগ গঠন
করেছিল। যে আয়োগ সমগ্র ঘটনাবলী তদন্ত করে ১৯৮৪ সনে অসম সরকারের কাছে একটি
প্রতিবেদন দাখিল করে।সেই প্রতিবেদনে অবিভক্ত লখিমপুর জেলার (তখন ধেমাজি ছিল
মহকুমা) ঘটনাবলীর তথ্য ছিল। তেওয়ারি আয়োগের প্রতিবেদনে সংঘাতের পেছনকার বহু কথা
উন্মোচিত করেছিল। বিশেষ করে সাধারণ জনতাকে নিরাপত্তা প্রদানে যে প্রশাসন যন্ত্র
সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছিল তার স্পষ্ট উল্লেখ আছে এই প্রতিবেদনে। উল্লেখ্য যে গত ত্রিশ বছরে অসম সরকার এই
প্রতিবেদন প্রকাশ্যে আনে নি।প্রকারান্তরে সরকারের গড়ে দেওয়া আয়োগের প্রতিবেদনকে
সরকারই লুকিয়ে রেখে ন্যায় ব্যবস্থাকে প্রহসনে পরিণত করেছে। এই প্রতিবেদনে আর্নে
চাপরি,চিমেন চাপরি ইত্যাদি অঞ্চলের,শিলাপাথার শহরের পাশের স’সাইতি,বামগাঁও,ইত্যাদি
অঞ্চলে সংঘটিত ঘটনা,ধেমাজি শহরের উত্তর দিকে অবস্থিত বিষ্ণুপুর,শান্তিপুর এলাকাতে
সংগঠিত ঘটনা সম্পর্কে কতকগুলো তথ্য রয়েছে।প্রতিবেদনে স্পষ্ট উল্লেখ করা হয়েছে আক্রমণকারীরা
আসলে কোন শ্রেণির অন্তর্গত। সেখানে উল্লেখ আছে যে আর্নে চরাঞ্চলে সংঘটিত
ঘটনাগুলোতে সাম্প্রদায়িক বা ধর্মীয় বিদ্বেষ ছিল না।বিপরীতে হিংসাত্মক ঘটনার আড়ালের
এক অন্যতম কারণ ছিল ভূমিকেন্দ্রিক বিবাদ।প্রতিবেদনে লিখেছে এইভাবে,“It is clear that the rioting and group clashes did not take place on
communal lines.In Arena (Arne) Chapari the Mishings and Assamese attacked the
Bengali Hindus... In Bishnupur the Mishings and the Assamese attacked Bengali
Hindus.In all cases the basic background of the clashes was one of land
disputes.”
‘মিসিং জনগোষ্ঠী’ এবং ‘অসমিয়া জনগোষ্ঠী’র লোকে বাঙালি
হিন্দুদের উপরে আক্রমণ চালিয়েছিল সেই সিদ্ধান্ত নেবার আগে বিভিন্ন জাতি-জনগোষ্ঠী
এবং সরকারি আমলা –আধিকারিকদের থেকে শুরু করে প্রায় অর্ধ শতাধিক মানুষের সাক্ষ্য
গ্রহণ করেছিল তেওয়ারি কমিশন।অন্যদিকে,পুলিশ-প্রশাসন যে হিংসাত্মক ঘটনা ঘটবে বলে
জেনেও সুরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে ব্যর্থ হয়েছিল সে কথাও প্রমাণ করেছে আয়োগ।
তেওয়ারি আয়োগের প্রতিবেদনে পুলিশ প্রশাসনের সম্পর্কে উল্লেখ আছে এইভাবে,“There was also
anticipation of the occurrence at Arena
(Arne) Chapori but police force could not be posted there in time.The officers who were made responsible for maintaining law and order in Dhemaji Sub-division lacked
determination and failed to take initiative in mobilising the available
resources to tackle a very difficult situation.”
পুলিশ যে হিংসাত্মক ঘটনার আগে তথ্য পেয়েও পরিস্থিতি
সামাল দিতে বিশেষ কোনো চেষ্টা করেনি তার বিস্তৃত ব্যাখ্যার দরকার নেই।
অন্যদিকে সেই সময়কার লখিমপুর জেলার উপায়ুক্ত তথা রাজ্য
সরকারের জ্যেষ্ঠ আমলা কে সি মজুমদার তেওয়ারি আয়োগের সামনে কতকগুলো গুরুত্বপূর্ণ
তথ্য প্রকাশ করে দিয়েছিলেন। উপায়ুক্ত মজুমদার তেওয়ারি আয়োগের সামনে সাক্ষ্য
দিয়েছিলেন যে জেলার দুই আধিকারিক আর্নে চরাঞ্চলে আক্রমণে উসকানি দিয়েছিলেন।এ
সম্পর্কে আয়োগ উল্লেখ করেছে এভাবে,“The Deputy Commissioner,in his
deposition,stated that two Mishing Officers,namely Shri Lakheswar Pait,
Executive Magistrate and Shri J C Pegu,Additional District Magistrate posted at
Shilapathar,in his view,instigated the Local Mishing people to grab the land by
force and to drive away the refugees.He also stated that the performance of the
two A D Ms. Namely Shri H K Barua and Shri J C Pegu was not up to the mark
14.2.83”
উল্লেখযোগ্য
যে লক্ষেশ্বর পাইত এবং জে সি পেগুকে পরে প্রশাসন বরখাস্ত করেছিল এবং আধিকারিক
দু’জন তাদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগ অস্বীকার করেছিলেন।যদিও এক উপায়ুক্তের ভাষ্যতে
বেরিয়ে পড়ে সমগ্র পরিস্থিতির আড়ালে ঠিক কোন ধরনের শক্তি ক্রিয়া করেছিল।এই
প্রতিবেদনে উন্মোচিত হয়েছে বিষ্ণুপুর,শান্তিপুর,চিমেন চাপরি,আর্নে চাপরি ইত্যাদি
জায়গাতে সংগঠিত হিংসাত্মক ঘটনার আগে প্রশাসন ঠিকই খবর পেয়েছিল,কিন্তু বাঙালি
হিন্দুদের আক্রমণকারীদের থেকে রক্ষা করতে বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করে নি। অর্থাৎ
প্রশাসনের একাংশ আধিকারিকের রহস্যজনক ‘অবহেলা’র পরিণতিতে বহু মানুষ প্রাণ হারালেন।
তেওয়ারি আয়োগের প্রতিবেদনের মতে প্রশাসনিক দুর্বলতার জন্যে সমগ্র জেলাতে ১৯৮৩র
জানুয়ারি থেকে এপ্রিল মাস অব্দি ১,৩৮৯টা হিংসাত্মক ঘটনা সংগঠিত হয়েছিল।অন্যদিকে
সংঘর্ষ সৃষ্টির আড়ালে ‘আসু’ এবং গণ সংগ্রাম পরিষদের ভূমিকা সম্পর্কে তেওয়ারি কমিশন
বিভিন্ন ব্যক্তি এবং আধিকারিকদের সাক্ষ্যের উদ্ধৃতি দিয়ে এই কথা লিখেছে, “The circumstances
leading to the disturbances which took place during January to April, 1983 were
provided by the fact that when it was decided to hold the general elections
certain sections of public instigated by ASSU/AAGSP and political parties
like,BJP,Janata and Lok Dal and some anti-social elements decided to boycott
the election and even resorted to violence to further their objective.”
অবিভক্ত
লখিমপুর জেলার অন্তর্গত বৃহত্তর ধেমাজি মহকুমার বিষ্ণুপুর,শান্তিপুর,আর্নে চাপরির
বেশ কিছু গ্রাম,চিমেন চাপরির কিছু গ্রামে পরিকল্পিত ভাবে হিন্দু বাঙালিদের আক্রমণ
করবার পেছনে ‘আসু’,সারা আসাম গণ সংগ্রাম পরিষদ (AAGSP),ভারতীয় জনতা পার্টি ইত্যাদি শক্তি যে ছিল সেসব ব্যাখ্যার প্রয়োজন নেই।
এমন কি আঙুল দিয়ে দেখাবার দরকার নেই
শিলাপাথারে হাজার হাজার হিন্দু বাঙালির রক্তে দোল উৎসব করেছিল কারা।