(মূল অসমিয়া কবিতাটি লিখেছেন অজয় লাল দত্ত । এই সময়ে কথাপ্রধান এই কবিতাটির গুরুত্ব অনুধাবন করে অনুবাদ করে ফেললাম। ---সুশান্ত কর)
(C)Image:ছবি |
খোলা মঞ্চে দাঁড়িয়ে উদাত্ত কণ্ঠে
যখন মানুষকে ঘৃণা করবার জন্যে ভাষণ দিতে পারে
তখন আর বেত্রাঘাতের প্রয়োজন নেই!
বেত্রাঘাতের দরকার সেই ওদের পিঠে
যারা খিদের কথা বলে,
পেটের দায়ের কথা বলে,
জীবনের জ্বালার কথা বলে,
যে জ্বলন্ত মানুষগুলোকে হাতে হাত ধরে এক হতে বলে!
কারণ ভয় এদের থেকেই, যার পেটে আগুন আছে
হাতে এসে পৌঁছুতে আর কতই বা দূর?
হয়ে উঠতে পারে ভয়ঙ্কর...
যার অভাবের কোনো ইতিহাস নেই
যে বর্ণের গালিচাতে কাটিয়েছে শৈশব
যে বাতানুকূল ঘরে ‘ ঘামে স্নাত শরীরে’র কবিতা লিখে জুটিয়েছে বৈভব
লেহন অথবা ভক্তি, ক্ষয় সমস্ত শক্তি
নজির হিসেবে নিন, দুই এক উক্তি!
আসলে বেত্রাঘাত সেই ওদের জন্যেই
যারা হয়তো ভুল করেছে
হয়তো পরের ভুল ধরেছে
হুঁশিয়ার করতে করেছে দুঃসাহস
ভয় এই এদের থেকেই...
যার পেটে ইঁদুর আছে
শাসনের দড়ি কেটে যদি ফেলে পাছে?
বিভেদকামীকে শক্তি যোগানো
প্রেমের বদলে ঘৃণা বিলোনো,
এরাতো কুটুম্ব, খেলোয়াড়ের, পাশা খেলার
আছে পুরস্কার-টুরস্কার, মুক্তোর মালা,
তাঁরাইতো মুখ্য অতিথি, খেলা শেষের ভোজসভার......
000~~~~~~~~~~~~~~~000
মুল অসমিয়া কবিতাও এখানে রইল।
000~~~~~~~~~~~~~~000
--------
মুকলি মঞ্চত থিয় হৈ উদাত্ত কণ্ঠৰে
যেতিয়া মানুহক ঘৃণা কৰাৰ ভাষণ দিব পাৰে
তেতিয়া আৰু বেত্ৰাঘাতৰ প্ৰয়োজন নাই!
বেত্ৰাঘাতৰ প্ৰয়োজন সেই সকলৰ পিঠিত
যিয়ে ভোকৰ কথা কয়,
পেটৰ দায়ৰ কথা কয়,
জীৱনৰ জ্বালাৰ কথা কয়,
যিয়ে জ্বলি থকা মানুহবোৰক এক হোৱাৰ কথা কয়!
কাৰণ ভয় এই সকলৰ পৰা, যাৰ পেটত অগনি আছে
হাত পাবলৈনো কেত পৰ?
হৈ পৰিব পাৰে ভয়ংকৰ...
যাৰ অভাৱৰ ইতিহাস নাই
যিয়ে বৰ্ণৰ দলিচাত কটাইছে শৈশৱ
যিয়ে বাতানুকুল ৰূমত 'ঘামে ধোৱা গা'ৰ কবিতা লিখি গোটাইছে বৈভৱ
লেহন অথবা ভক্তি, ক্ষয় সকলো শক্তি
উদাহৰণ হিচাবে লওক, দুই এটা উক্তি!
আচলতে বেত্ৰাঘাত সেই সকলৰ বাবেহে
যি সকলে হয়তো ভুল কৰিছে
হয়তো আনৰ ভুল ধৰিছে
সঁকিয়াই দিবলৈ দুঃসাহস কৰিছে
ভয় এইসকলৰ পৰা...
যাৰ পেটত নিগনি আছে
শাসনৰ জৰী কুটি দিয়ে যদি পাছে?
বিভেদকামীক শক্তি যোগোৱা
প্ৰেমৰ সলনি ঘৃণা বিলোৱা,
এইসকলটো কুটুম, খেলুৱৈৰ, পাশা খেলৰ
আছে বঁটা-বাহন, মুকুতাৰ ধাৰ,
তেওঁলোকেইতো মুখ্য অতিথি, খেলৰ শেষৰ ভোজমেলৰ.....
No comments:
Post a Comment