ফেলানি
লম্বোদর ওকে আজ সকালে বলে গেছে যেন সে যেটুকু পারে, অল্প অল্প জিনিস পত্র বেঁধে গুটিয়ে রাখে। কী গুটোয় সে? বর্ষাতে চালের ফুটো দিয়ে ফোটা ফোটা জলে যেমন পুরো বাটি ভরে যায় তেমনি গেল ন বছরে একটা দুটো করে কত কি জিনিস করেছে ওরা। কোনটা রেখে কোনটা নিয়ে যায়? কী বেঁধে নিয়ে যায়? ঐ দু’বছরেই ফল ধরেছে যে কামরাঙা গাছটায়? কলিতেই কী মিষ্টি খেতে ! জাহাজি কলার গাছটা, যার থোর ঝুলে পড়ে মাটি ছুঁই ছুঁই করছে? ওই যে গাছে লাল গোলাপ ফুটে চিমমিক করছে, ওটা? মাছে ভরা পুকুরটা ? আঁচলে, বাক্সে, পোতলাতে –কিসে করে বাঁধে সে? সাত মাসের পোয়াতি সে ভারি দেহটা নিয়ে এদিক ওদিক দেখছে কেবল।
রাতে হৈ হল্লা হতেই থাকে, কেউ শুতে পারে না। ছোট হলেও মণি বয়সের থেকে বেশি সমঝদার হয়েছে। এই আট বছরেই সে কত কী বুঝে! সারা রাত সে শোয় না। চোখ বুজে আসে , তবু সে সজাগ থাকে। বাবা যখন গাঁয়ের আর লোকের সঙ্গে রাতে পাহারা দিতে যায়, তখন রোজ বলে যায় কিনা, মাকে দেখবি। সে ঘুমোয় কী করে? গেল রাতে পুরো ছ’বার হাল্লা হয়েছে। গাঁয়ের যারা পাহারা দিচ্ছিল তারা আগুনের আলো দেখেছে, মরা পাটের খেতের মাঝখানে মানুষের আনাগোনা দেখেছে, পেট্রোলের গন্ধ পেয়েছে, তিরে লেগে এসে পড়া নাহরেরবীজ১দেখেছে। সে বারে বারে বিছানাতে ওঠে আর নামে। থেমে থেমে গোটা রাত সে চিৎকার চেঁচামেচি শুনে গেছে।
সে ছেলের পাশেগিয়ে দাঁড়াল । শুয়ে থাকা ছেলেকে তার আলতো করে একটা চুমো খেতে ইচ্ছে হলো, পারল না। কিছু দিন থেকে সে ভালো করে নোয়াতে পারে না। হঠাৎই ওর মনে হোল শ্বাসটা যেন বন্ধ হয়ে যাবে। পেটেরটি পাশ ফিরছে। পেটের একদিকটা যেন শক্ত হয়ে ফুলে উঠল, আবার যেমন ছিল তেমনি আগের মত হয়ে গেল। সে টেনে একটা দীর্ঘ শ্বাস নিল। ছেলে বা মেয়ে যাই হোক না কেন , হবে বটে একটা ...। ওর ঠোঁটে খানিকটা হাসি দেখা দিয়ে আবার মিলিয়ে গেল। ছেলেটি ঘুমের মধ্যে কিছু বিড় বিড় করে বলছে। মায়ের বুকে যেন কিছুতে চেপে ধরেছে। এ বয়সে ছেলেটির উচিত ছিল খেলে-ধুলে গোগ্রাসে কতকগুলো খেয়ে নেয়া। সন্ধ্যে হতেই পড়ে ঘুমের দেশে হারিয়ে যাওয়া । কিন্তু এই ছোট্ট ছেলেটিকে দেখতে হচ্ছে সারা দেশের যত বাজে জিনিসগুলো। সে ছেলের মাথার নিচের বালিশটা ঠিক করে দিল। বালিশটা বাঁকা হয়ে গিয়ে ওর গলা থেকে একটা ঘড়ঘড় করে শব্দ বেরুচ্ছিল।
মানুষটা তেমাথাতে যাবে বলে বেরিয়ে গেছে। গাঁয়ের সমস্ত ছেলে বুড়ো জীবনের দোকানে জড়ো হবে। জীবনের দোকানের কাঁচে ঘেরা আলমারিগুলো খালি। এতোদিন সে বন, কাটা বিস্কিট আর লাল চা বিক্রি করছিল। এখন সেগুলোও বন্ধ হয়ে গেছে। শুধু লোকগুলোই সেখানে জড়ো হয়। আগেও মানুষগুলো ওখানে বসত। জীবন একটা খবরের কাগজ রাখে, কাগজটাও ওদের একটা মুখ্য আকর্ষণ। কেউবা রেডিও একটাও নিয়ে যায়। এই লোকগুলো আগে আর কই এতো রেডিও,খবরের কাগজের প্রতি আগ্রহ দেখাতো? এই গোলমাল শুরু হবার পর থেকেই ওরা এতো সচেতন হয়েছে। কোথাও খিটিং করে শব্দ একটা হলেই ঝাঁপ দিয়ে উঠে।
ফেলানি জীবনের দোকানে যায় না। সেখানে কী আলোচনা হয় তাও টের পায় না। টের পেলে যে জানতে পেত কী ভাবে নির্বাচন বর্জন করবার জন্যে আন্দোলনকারী ছেলেগুলো উঠে পড়ে লেগেছে। খবরের কাগজ রেডিওর সঙ্গে সম্পর্ক থাকলেও টের পেত। মনোনয়ন পত্র জমা দিতে যাবার বেলা সেই মেয়ে মানুষটিকে ছেলে মেয়ে বাচ্চা বুড়োতে কী করে বাধা দিয়েছিল। কী করে পুলিশে গুলি করে তাদের দু’জনকে মেরেছিল। মেরে কত লোককে পঙ্গু করেছিল। সেই গোলগাল মুখের ছেলেটির শবদেহ নিয়ে শহরে কেমন শোভাযাত্রা হয়েছে। সে শুধু একা নয়, জীবনের দোকানে যারা বসত সেই লোকগুলোও সেই গোপন ইস্তাহারের কথা জানত না , যেটিতে লেখা হয়েছিলঃ “ভোট গ্রহণ কেন্দ্র, গাড়ি, দেশদ্রোহীর ঘর দোয়ার ইত্যাদিতে অগ্নি সংযোগ করবেন। রেলের সিঁড়ি, ফিস-প্লেট উঠিয়ে দিতে হবে। বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে ফেলবেন। সরকারি যানবাহনকে বাধা দেবেন , অপহরণ করবেন। অসম বিরোধী ব্যক্তিকে পঙ্গু করবেন। চোতরা পাতার গুঁড়ো, লংকা-গুঁড়ো, বোলতা --মৌমাছি গুটিয়ে রাখবেন। বাড়ি ঘর জ্বালাবার জন্যে তির ধনুক, নাহরের বিচি১, মরা পাট ইত্যাদি জোগাড় করে রাখবেন...।” লোকগুলো শুধু জানতে পেয়েছে যে সবকিছু ওলট পালট হয়ে গেছে। ঝড় আসবার আগের নিস্তব্ধতার মতো সময় অজগরের মতো সবাইকে প্যাঁচিয়ে ধরেছে। চারদিকে শুধু ভয় আর আতঙ্ক। পাতা একটা ঝরলেও সবাই আঁতকে উঠে।
জীবনের দোকানে গতকালই সবাই আলোচনা করেছে, বাচ্চা আর মেয়ে মানুষগুলোকে একটু দূরে কোথাও পাঠিয়ে সরিয়ে ফেলাই ভালো হবে। কোথায়, কবে, কোনদিকে কী হয় তার ঠিকানা নেই। সে জন্যেই তাঁকে ওর স্বামী বলে গেছে, যা পারবি গুছিয়ে টুছিয়ে রাখবি। সে থপ থপ করে ঘরের ভেতরটাতে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কী গোছায় সে? এবারে সে তালা দিয়ে রাখা বাক্সটা খুলেছে। কাপড়ের ভেতর থেকে মুখে দেবার ক্রিমের একটা কৌটো একটা বের করে আনল। কৌটোটি খুলতে বেরিয়ে এলো কয়েক পদ অলংকার। মা বাবা নেই, মেয়েটাকে কেই বা সাজিয়ে গুজিয়ে বের করে দেবে? লম্বোদর কোচের ঘরের ছেলে। খাওয়া পরার ব্যবস্থা আছে। খেত খামারও রয়েছে। হাইস্কুলে কয়েক ক্লাস পড়েছিল। বংশ পরিচয়ও মন্দ নয়। মঙ্গলদৈ থেকে পনের কিলোমিটার ভেতরে ওর মূল বাড়িও নেহাৎ ফেলনা নয়। সে কাকার সঙ্গে ভাগের জমি চাষ করতে এসে এ গ্রামে থেকে গেল। তার মন বেঁধে ফেলল মিষ্টির কারিগর রতনের ঘরের পালিতা কন্যা ফেলানির লম্বা চুল ক’গাছা। সে যেদিন প্রথম পুজোর মেলাতে ফেলানিকে দেখেছিল, অবাক হয়ে ভেবেছিল-- এই নজর কাড়া মেয়েটির নাম কে ফেলানি রেখেছে! যখন জানতে পেল তার মন জিলিপি তৈরির জন্যে গুলে রাখা ময়দার মতো নরম হয়ে গলে গেল। বাড়ির আপত্তিকে পাত্তা না দিয়ে সে মিঠাইর কারিগরের উঠোন থেকে সাজিয়ে গুছিয়ে না দেয়া সত্ত্বেও মেয়েটিকে সিঁদুর পরিয়ে নিয়ে এলো। বাড়ির লোকেরা বেজাতের মেয়ে আনবার জন্যে তাকে প্রায় ত্যাগ করল। পনের বছরের মেয়ে এখন লম্বোদরের ঘর উঠোন করতে করতে তেইশ বছর বয়সের গৃহিনী, একটি ছেলের মা হয়ে গেছে।
সে অলংকারে কৌটাটা খুলল। হাতের তালুতে তার কামরাঙামণি। হারটিতে একগাছা ভারি মিনা করা ঝোলানো অর্ধচন্দ্রের মতো লকেট। হারের কামরাঙার মতো মণি ক'টিতে বেশ ভালো রকম সোনা রয়েছে। লকেটটা খাটি মুক্তোর। অলংকারটা হতে নিয়ে ওর বুকটা ধুকপুক করে উঠল। এই গয়নাটি পরিয়ে ওকে বিদেয় দিলেও লোকে রতনকে ধন্য ধন্য করত। কিন্তু কার এতো সাহস আছে এই ভারি কামরাঙারোদের আলোতে নিয়ে আসবার? ওর মাকেও যখন এটা দেয়া হয়েছিল, তখন কাপড়ের মাঝখানে ছেঁড়া কাপড়ের পোটলার ভেতরে ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছিল যাতে অন্যে না দেখতে পায়। মিঠাইর কারিগর ক্ষিতীশ ঘোষের দূর সম্পর্কের ভাই রতন ঘোষের ঘরের অন্ধকার কোনাতেএই হারখানা যেভাবে ছেঁড়া কাপড়ের পোটলাতে প্যাঁচিয়ে আনা হয়েছিল সেভাবেই পড়েছিল। ষাট সনের সেই রক্তে ধোয়া দিনগুলোতে হারখানা বাইরে বেরিয়ে এসেছিল।
যেদিন এই হার টিনের বাক্সের থেকে বেরিয়েছিল সেদিন বাতাস আগুনের ফুলকিতে ভরে গেছিল। দাউদাউ করে বাড়ি ঘর জ্বলছিল। তার মতো তার মায়েরও সেদিন গা ভারি ছিল। ছ্যাঁচড়ে ছ্যাঁচড়ে স্বামীর সম্পর্কিত ভাই রতনের বাড়িতে গিয়ে ঢুকে গেছিল। মা শরীরের থেকে বেরুনো থোকা থোকা রক্তে আধপোড়া ঘরের স্তূপাকার ছাই ভিজিয়ে ফেলেছিল।মা শিশুটিকে আর ছেঁড়া কাপড়ে বাঁধা ‘কামরাঙা’ হার, নিজের সোনাতে বাঁধানো, স্বামীর দেয়া আংটিটা একটা বস্তাতে রেখে চোখ বুজেছিল। রতন যেখানে লুকিয়ে ছিল সেখান থেকে বাচ্চার কান্না শুনতে পেয়েছিল। আর শুনতে পেয়েছিল ঝপাং করে জলে একটা শব্দ। সেই দাঙ্গাবাজগুলো চলে যাবার পর রতন তাকে তুলে এনে ঝোপের দিকে দৌড় দিয়েছিল। ফেলে দেয়া মেয়েটি ফেলানি হয়েছিল। কেউ ডাকে ফিলানি, কেউবা ফেলাইনি, পেলানি,ফলানি....ফালানি...। মোটের উপর ওর নামটা থেকে গেল ঝপাং করে জলের একটা শব্দ।
ফেলাইনি...ফেলাইনি...’, সুর করে কেউ ডাকতে সে গলার স্বর থেকে বুঝতে পারল জানকিদের ঠাকুরমা। কেঁদে কেঁদে মানুষটির স্বরটা ভেঙ্গে গেছে। বুড়ী ভোক ভোক করে কাঁদছে। সে বেরিয়ে গেল। জানকিদের পরিবারটি তল্পিতল্পা বেঁধে কোথাও যাবার জন্যে বেরিয়েছে। ওরা পাটখেতের মধ্যে দিয়ে মিলিয়ে গেল। ফেলানি আবারো ঘরে এলো। ওকে যে স্বামী তৈরি থাকতে বলে গেছে। সে হাঁটু ভেঙ্গে বসে চুলো জ্বালিয়ে ডেকচিতে চাল-ডাল আর আলু একসঙ্গে বসিয়ে দিল। গুটিয়ে রাখা শুকনো আমের ডাল দপদপ করে জ্বলে গেল, ভাতও হয়ে গেল।। চুলোর কাছের খড়িগুলোর দিকে তাকিয়ে ওর বুক কেমন করে উঠল। মানুষটা ওর জন্যে সবই ছাড়ল, আজ অব্দি মানুষটা ওকে শুধু সুখই দিল। চারদিকে এতো গোলমাল, এর মধ্যেও লোকটা ওর কথা ভুলে নি। চুলোর কাছে এনে দেয় লাকড়ি। পুকুর থেকে জল তুলে এনে বালতি চড়াই২ভরিয়ে রাখে...। পেটেরটি আবারও পাশ বদল করছে...। কিছু একটা খাওয়া উচিত ছিল, না খেয়ে থাকলে পেটের শিশুটিকেই কষ্ট দেয়া হবে।
‘ বেড়াতে আলোর রেখা চিকমিক করে উঠেছে। বিছানাতে বের করে রাখা গয়নাগুলোতে খিড়কি২দিয়ে রোদের আলো পড়ছে। কামরাঙাহারেরোদের আলো পড়ে চিকমিক করে উঠতেই সে প্রায় দৌড়ে গিয়ে ওটা বালিশে ঢেকে দিল।এমন মণিটাকে সে কোন সাহসে আলো হাওয়াতে বের করল? ওর সারা গা কেঁপে উঠল। এই মণির ইতিহাস মানে ফেলানির দিদিমা রত্নমালার ইতিহাস, মৌজাদারের পরিবারের আলো বাতাস পড়তে দেয়া হয় নি যার গায়ে, যে কলঙ্ক মুছে দিতে চাওয়া হয়েছিল তার ইতিহাস। তাকে অনেকেই দেখলে বলে দিদিমার মতো দেখতে। রতনের বাড়িতে সে ছিল সন্দেশ বানাবার জন্যে রাখা ছানার মতো। ঢেকে টেকে রাখতে হবে,ঢাকবার কাপড়খানাও পরিষ্কার হতে হবে, মাছি পড়তে পাবে না। তা না হলে সন্দেশে পাক ধরবে না, টক হয়ে যাবে। কেউ তাকে পারতে বাড়ির বাইরে বেরুতে দিত না। শুধু রতনই জানে তার দোকানে মিষ্টি কিনবার ছলে তিনদিনে তিনবার মৌজাদারের পরিবারের গাড়ি এসেছিল।
সে ধীরে ধীরে চন্দ্রমণি হার পরে নিলো। ওর ভরা শরীরে মণি বসানো কামরাঙাগুলো তারার মতো ঝলমল করে উঠল।
‘মণি! মণি!’ বরের ডাক শুনে সে সাত তাড়াতাড়ি মণিহারখানা খুলে বাক্সে ভরিয়ে রাখল। চাদরের মাথাটা ভিজিয়ে সে গলাটা মুছে নিলো। তার চোখের সামনে ভেসে উঠল তারা গাছের হালকা ঝাড়ের মাঝে পড়ে থাকা একটি সুঠাম দেহের জোয়ান ছেলের মৃতদেহ। সে শুনেছিল ,রতনের কাকা ভয়ে ভয়ে কাকিমাকে বলছিল, সে বাড়ির গাড়ি এসে দোকানের সামনে দাঁড়াবার কাহিনি। ওর শরীরের রোমগুলো শিউরে উঠল। মণি উঠে বাবাকে দোয়ার খুলে দিল।
বর এসে ওর কাছ ঘেঁষল, “ গোছানো টোছানো কিছু হলো? কাল ভোরে...।’’ সে কথা শেষ করতে পারল না। মা ছেলেকে ধরে হুঁ হুঁ করে কাঁদতে শুরু করল।
“মালতী ! মালতী! এমনটি করিস না। তোর একটাবাড়ি আছে না? শ্বশুর শাশুড়ি সবাই আছে, ওরা খবর করে পাঠিয়েছেন। অল্প সামলে টামলে নিয়ে আমিও যাব। তার উপর তোর এই শরীর...।” ওর কান্নার বেগ এবারে কমে গিয়ে ফিসফিসানিতে নেমে এসেছে।
“মালতী, এই মালতী! আমি মানুষটা এখনো মরি নি, না!”
স্বামী ওকে এই প্রথমবারের মতো দিনের আলোয় মালতী বলে ডাকল। সে লজ্জাও পেল না , রাগও উঠল না। সে ভয়ে শিউরে উঠল। মালতী নামটি যেন ভর দুপুর বেলার চারপাশের রোদে ছড়িয়ে মিলেয়ে গেল। কাল যখন এক অচেনা বাড়িতে সে যাবে তখন কি পারবে আদরের এই ডাকটাকেও তল্পিতল্পার সঙ্গে করে বেঁধে নিয়ে যেতে?
সে পলক না ফেলে মানুষটার মুখের দিকে তাকিয়ে রইল।
টীকা:
১) নাহর: বাংলা অসমিয়া দুটো ভাষাতেই এর তৎসম প্রতিশব্দ ‘নাগেশ্বর’। নাহর অসমিয়া তদ্ভব শব্দ। সেই সঙ্গে সাংস্কৃতিক ভাবে জনপ্রিয় শব্দ। আদর্শ বাংলাতে তেমন কোনও স্বতন্ত্র জনপ্রিয় তদ্ভব শব্দ নেই এবং অসমের বাংলাতে শব্দটি প্রচলিত বলে আমরা মূল শব্দটিকে রেখে দেয়াই সমীচীন বোধ করলাম।
২) চড়াই, খিড়কি: শব্দগুলোর বাংলা প্রতিশব্দ গামলা, জানালা। কিন্তু অসম তথা পূব বাংলার বাংলাতে শব্দগুলো বহুল প্রচলিত বলে আমরা এভাবেই রেখে দেয়াতে কোনও অসুবিধে দেখছি না। এমন পরে আরো বেশ কিছু শব্দ আমরা এভাবেইরেখে দেব।
No comments:
Post a Comment